স্টাফ রিপোর্টার, পেকুয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় চাঞ্চল্যকর আবু ছৈয়দ হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড সাবেক মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াসিম ও সাবেক এমপি জাফর আলমের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রবিবার বিকেলে পেকুয়ার চৌমুহনীস্থ এবিসি সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপজেলার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ অংশ নেন। এসময় বক্তব্য রাখেন পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. আজমগীর, মগনামা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মো. রিপন, আওয়ামী লীগ নেতা মমতাজুল ইসলাম, নিহত আবু ছৈয়দের স্ত্রী বুলবুল আকতারসহ ওয়াসিমের নিপীড়নের শিকার ভুক্তভোগীরা।
বুলবুল আকতার কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামীকে একসময় চেয়ারম্যান ওয়াসিম ক্যাডার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। যখন আর ব্যবহার করতে পারছেনা তখন থেকে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। যা আমার স্বামী বুঝতে পেরে ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর শেষ রক্ষা হয়নি। দিনেদুপুরে বাড়িতে ঢুকে ওয়াসিমের নির্দেশে তাঁর অনুসারী আলী আকবর, মোজাহিদ, সোনামিয়াসহ ২০-৩০ জনের সশস্ত্র গুন্ডা বাহিনী গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে।
মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওয়াসিম তাঁর গুরু সাবেক এমপি জাফর আলমের ইন্ধনে মগনামায় রামরাজত্ব চালিয়েছে। কেউ প্রকাশ্যে তাঁর অনাচারের বিরুদ্ধে কথা বললেই প্রশাসনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য দিয়ে ফাঁসিয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, মগনামায় আবু ছৈয়দ ও জয়নাল হত্যাকাণ্ড হয়েছে সাবেক এমপি জাফর ও সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াসিমের নির্দেশনায়। ইতোমধ্যে আবু ছৈয়দ হত্যা মামলায় ওয়াসিম গ্রেফতার হয়েছে। জয়নাল হত্যা মামলায় তাকে আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। পাশাপাশি সাবেক এমপিকেও এ দুটি হত্যা মামলায় আসামী করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর মগনামার আফজালিয়া পাড়ায় ঘরে ঢুকে আবু ছৈয়দকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ২৪ জনকে আসামী করে পেকুয়া থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ছেলে ছৈয়দ মো. ইমন। পরে এ হত্যাকাণ্ডের কয়েকজন আসামীকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াসিমের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে হত্যাকাণ্ডে ওয়াসিমের সম্পৃক্ততার ব্যাপারটি জোরালো হয়।
পাঠকের মতামত: